প্রচন্ড গরমে তো বটেই, এমনিতেও বছরের অন্যান্য সময়ে দূরপাল্লার যাত্রার ক্ষেত্রে এসি কোচে যাত্রীদের ভিড় বেশ চোখে পড়ে। এসি কামরার ঠান্ডা, স্বাচ্ছন্দ্যকর পরিবেশে ট্রেনে যাওয়ার মজাই আলাদা। এমনিতে তো বাড়িতে কিংবা অফিসে এসির তাপমাত্রা ইচ্ছেমতো সেট করা যায়। জানেন কি ট্রেনের এসির তাপমাত্রা কত নম্বরে সেট করা থাকে?
ট্রেনের এসির তাপমাত্রা সেট করার বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। যাত্রীরা যাতে আরামে যাতায়াত করতে পারেন সেই দিক অবশ্যই নিশ্চিত করা হয়। সব যাত্রীর কথা ভেবেই তাপমাত্রা একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় সেট করা থাকে। যাতে যাত্রীদের গরম অনুভূত না হয় আবার অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে শরীর খারাপ না হয়ে যায়। যাত্রী বিশেষে গরম এবং ঠান্ডার অনুভূতি যেহেতু আলাদা হয় তাই এসির নির্দিষ্ট তাপমাত্রা নিয়েও বহু যাত্রীর অভিযোগ রয়েছে।
ট্রেনের এসি কত তাপমাত্রায় সেট করা থাকে?
ট্রেনের এসি কামরাগুলোর তাপমাত্রা ঘন ঘন পরিবর্তন করা হয় না। এসির তাপমাত্রা আসলে নির্ধারণ করা হয় কোচের ভিত্তিতে। এসি কামরাতে প্রধানত দুই ধরনের কোচ থাকে। LHB AC কোচ, নন LHB AC কোচ, এই দুই ধরনের ভাগ থাকে। LHB AC কোচের তাপমাত্রা রাখা হয় ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নন LHB AC কোচের তাপমাত্রা ২৪ থেকে ২৬ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা হয়।
আরও পড়ুন : আমেরিকাকে টেক্কা দিচ্ছে ভারতের মেট্রো! মিলছে এইসব সুবিধা
অর্থাৎ ভারতে যে সমস্ত দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল করে তাদের এসি কোচের তাপমাত্রা সাধারণত ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকে। এসি কোচের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদাভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এসি কোচের বাতাস সব সময় ঠান্ডা থাকে। বাতাসকে ঠান্ডা রাখার জন্য রি-সার্কুলেশন মোড ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন : দূরপাল্লার ট্রেনে AC কোচ কেন মাঝখানে থাকে? জানুন আসল কারণ
রি-সার্কুলেশন মোড ব্যবহার করার জন্য কামরার ভেতরের বাতাস ঠান্ডা হতে খুব বেশি সময় লাগে না। ভিতরে অক্সিজেন সরবরাহের পাশাপাশি ১২ ঘন্টা বাতাস পরিবর্তন প্রক্রিয়া চলতেই থাকে। এক্ষেত্রে ট্রেনের মধ্যে বাতাসের ৮০ শতাংশ রি-সার্কুলেশন মোডে ঠান্ডা করা হয়, ২০ শতাংশ বাতাস বাইরের পরিবেশ থেকে নেওয়া হয়।