বাংলার পর্যটনপ্রেমীদের জন্য এল এক বড় সুখবর। তারকেশ্বর থেকে সোজা বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পর্যন্ত পথ জুড়ে গেল রেলের মাধ্যমে। পূর্ব রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে তারকেশ্বর থেকে বিষ্ণুপুরের রেল পথ তৈরীর কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এই ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবেন সাধারণ যাত্রীরা। ট্রেনের ভাড়া, যাত্রাপথ এবং যাত্রার সময় নিয়ে এল এক বড় আপডেট।
তারকেশ্বর থেকে বিষ্ণুপুর, এই ৮৭ কিলোমিটারের পথ এবার মাত্র আধ ঘন্টার মধ্যে অতিক্রম করে ফেলা সহজ হবে। ২০০১ সালে এই রেল প্রকল্পের কাজে অনুমোদন মিলেছিল। যা বাস্তবায়িত হতে হতে প্রায় দুই দশক পেরিয়ে গেল। তারকেশ্বর থেকে গোঘাট পর্যন্ত ৩৪ কিলোমিটারের পথ তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। সেখানে ট্রেন চলাচল করছে এখন।
এদিকে বিষ্ণুপুর থেকে ময়নাপুর পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার রেলপথ তৈরির কাজ হয়ে গিয়েছে। সেখানেও এখন ট্রেন চলাচল করছে। ময়নাপুর থেকে বড় গোপীনাথপুর পর্যন্ত ৭.৭ কিলোমিটারের রেলপথ তৈরীর কাজ চলছে এখন। বড় গোপীনাথপুর থেকে জয়রামবাটী পর্যন্ত ৭.১ কিলোমিটারের পথ তৈরির কাজ চলছে একই সঙ্গে। জয়রামবাটী স্টেশন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
বিষ্ণুপুর-জয়রামবাটি-কামারপুকুর-তারকেশ্বর লাইনে ট্রেন ব্যবস্থা চালু হওয়ার দাবি বহুদিন ধরেই জানিয়ে আসছিলেন যাত্রীরা। বর্তমানে হাওড়া-গোঘাট লোকাল ট্রেন আড়াই ঘণ্টা সময় নেয়। বিষ্ণুপুর পর্যন্ত রেল সংযোগ স্থাপিত হলে অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় লাগবে। অর্থাৎ নতুন রেল পথ চালু হলে তিন ঘন্টাতেই হাওড়া থেকে বিষ্ণুপুর পৌঁছানো যাবে।
তারকেশ্বর থেকে বিষ্ণুপুর ট্রেনের যাত্রা পথ
- ১. ময়নাপুর থেকে বড় গোপীনাথপুর (৭.৭ কিমি),
- ২. বড় গোপীনাথপুর থেকে জয়রামবাটি (৭.১ কিমি),
- ৩. জয়রামবাটি থেকে কামারপুকুর (৫ কিমি),
- ৪. কামারপুকুর থেকে গোঘাট (৫.৫ কিমি),
আরও পড়ুন : ওয়েটিং লিস্টের দিন শেষ! ট্রেনের টিকিট বুকিংয়ে আসছে নতুন ব্যবস্থা
ট্রেনে তারকেশ্বর থেকে বিষ্ণুপুর যেতে কত সময় লাগবে?
এখন যেহেতু রেলপথ চালু নেই তাই হাওড়া থেকে বিষ্ণুপুর যাতায়াতের জন্য সাধারণত বাসের উপর ভরসা রাখতে হয়। এই বাস যাত্রাতে ৫ ঘন্টার বেশি সময় লাগে। হাওড়া থেকে বিষ্ণুপুর পর্যন্ত জুড়ে গেলে রেলপথে ইএমইউ ট্রেনে মাত্র ৩ ঘন্টাতেই এই পথ অতিক্রম করতে পারবেন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন : বাংলায় ফের নতুন রুটে চালু হচ্ছে মেট্রো! নতুন চমক দিল কলকাতা মেট্রো
তারকেশ্বর থেকে বিষ্ণুপুর ট্রেন ভাড়া কত হবে?
নতুন রেলপথ চালু হয়ে গেলে হাওড়া থেকে বিষ্ণুপুর পর্যন্ত যেতে যাত্রীদের খরচ হবে ৩০ টাকা। যেখানে এখন ওই একই পথ বাসে অতিক্রম করতে খরচ হয় মাথাপিছু ১৫০ টাকা। অর্থাৎ নতুন রেল পথ চালু হওয়ার পর টাকা এবং সময় দুটোই বাঁচবে।